আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর রাশিয়ার কয়েকটি পতাকা ছুঁড়ে মেরেছেন এক ক্ষুব্ধ ব্যক্তি। রেইয়ান ক্লেটন নামে ওই ব্যক্তি রাজধানী ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল হিলে গোপনে ঢুকে পড়েন এবং ট্রাম্পের দিকে পতাকা ছুঁড়ে মারেন। এ সময় ট্রাম্পকে বিশ্বাসঘাতক বলে চীৎকার করতে থাকেন রেইয়ান।
জানা গেছে, রিপাবলিকান সিনেটরদের সঙ্গে গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুরের ভোজসভায় যোগ দিতে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল হিল দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন ট্রাম্প। তার সঙ্গে ছিলেন সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা মিচ ম্যাককোনেল। প্রেসিডেন্টকে দেখেই রেইয়ান একগুচ্ছ ছোট আকারের পতাকা ছুঁড়ে মারেন। পতাকায় রাশিয়ার নাম লেখা ছিল। এ ঘটনায় পুলিশ রেইয়ানকে আটক করেছে। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত না করে নির্বিঘ্নে হেঁটে যান।
গতকালের ভোজ সভায় ট্যাক্স কমানোর বিষয় নিয়ে আলোচনার কথা ছিল। ট্রাম্পকে উদ্দেশ করে রেইয়ান বলতে থাকেন- “আপনি ট্যাক্স কমানোর বিষয়ে কথা বলবেন কেন বরং আপনার উচিত বিশ্বাসঘাতকতা নিয়ে কথা বলা।” রেইয়ান আরো বলেছেন, রাশিয়ার গোয়েন্দাদের সহায়তা নিয়ে ট্রাম্প ২০১৬ সালের নির্বাচনের ফলাফল চুরির ষড়যন্ত্র করেছেন।
ক্যাপিটল হিলের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা আইন বহির্ভূত আচরণের জন্য রেইয়ানকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছেন এবং তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। রেইয়ান হচ্ছেন ‘আমেরিকান টেক অ্যাকশন’ গ্রুপের নেতা এবং এর আগেও তিনি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন।
পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর রেইয়ান জানান, “আমি ট্রাম্পের দিকে রুশ পতাকা ছুঁড়ে মেরে মূলত এদিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছি যে, গত নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপে ট্রাম্প ক্ষমতায় এসেছেন।” এর আগে তিনি হাফিংটন পোস্টে লিখেছেন, “আমাদের অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচনী ব্যবস্থা বিনষ্ট করে বিদেশী শক্তির সঙ্গে কাজ করা ‘বিশ্বাসঘাতকতা’।”
সূত্র: পার্সটুডে
অগ্রদৃষ্টি.কম // এমএসআই